৪৭তম বি.সি.এস. পরীক্ষার আবেদন শুরুর তারিখ স্থগিত

৪৭তম বি.সি.এস. পরীক্ষার আবেদন শুরুর তারিখ স্থগিত, নতুন তারিখ দ্রুত ঘোষণা করা হবে

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) কর্তৃক ৪৭তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বি.সি.এস.) পরীক্ষা-২০২৪ এর অনলাইন আবেদন গ্রহণের শুরুর তারিখ স্থগিত করা হয়েছে। এই বিষয়ে গত ২৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে বিপিএসসি কর্তৃক একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ৪৭তম বি.সি.এস. পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে, অনিবার্য কারণে আবেদন গ্রহণের শুরুর তারিখে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরবর্তীতে নতুন আবেদন শুরুর তারিখ জানানো হবে।

বিপিএসসি কর্তৃক জারি করা বিজ্ঞপ্তি

বিপিএসসি’র অফিসিয়াল স্মারক নম্বর ৮০.০০.০০০০.২০০-৮৬.০৪৪.২৪-২৬৬ এর মাধ্যমে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। বিপিএসসি এর মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, ৪৭তম বি.সি.এস. পরীক্ষার জন্য অনলাইন আবেদন ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কিছু অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। বিপিএসসি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আবেদন শুরুর নতুন তারিখ শীঘ্রই জানিয়ে দেয়া হবে।

৪৭তম বি.সি.এস. পরীক্ষার আবেদন শুরুর তারিখ স্থগিত
৪৭তম বি.সি.এস. পরীক্ষার আবেদন শুরুর তারিখ স্থগিত

বি.সি.এস. পরীক্ষা ২০২৪ সম্পর্কে

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বি.সি.এস.) পরীক্ষাটি দেশের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। প্রতি বছর বিপিএসসি এই পরীক্ষার আয়োজন করে থাকে। ৪৭তম বি.সি.এস. পরীক্ষা ২০২৪ অত্যন্ত প্রতীক্ষিত একটি পরীক্ষা, এবং এতে অংশগ্রহণের জন্য লক্ষাধিক প্রার্থী আবেদন করে থাকেন।

৪৭তম বি.সি.এস. পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্যসহ আরও অনেক ক্যাডারে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। তাই পরীক্ষার জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহ দেখা যায়।

আবেদন প্রক্রিয়া

৪৭তম বি.সি.এস. পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহী প্রার্থীরা অবশ্যই বিপিএসসি’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd) গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনপত্র পূরণের সময় প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে, যার মধ্যে শিক্ষা, বয়স এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখযোগ্য।

তবে, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে আবেদন গ্রহণের শুরুর তারিখ স্থগিত হওয়ার কারণে প্রার্থীদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। নতুন তারিখ সম্পর্কে জানিয়ে দেয়ার পর, প্রার্থীরা তাদের আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।

বিপিএসসি ওয়েবসাইটে তথ্য

প্রার্থীরা বিপিএসসি এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং পরবর্তী নির্দেশনা পেতে পারবেন। বিপিএসসি-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হল: www.bpsc.gov.bd

টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে আবেদন সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যাবে এখানে: http://bpsc.teletalk.com.bd

প্রকৃত কারণ প্রকাশিত হয়নি, তবে অনুমান করা হচ্ছে যে, আবেদন ফি কমানোর বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি

বিপিএসসি কর্তৃপক্ষ ৪৭তম বি.সি.এস. পরীক্ষার আবেদন শুরুর তারিখ স্থগিত করার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে, অনেকেই মনে করছেন যে, সরকারি চাকরির জন্য আবেদন ফি ২০০ টাকার সিদ্ধান্তটি এখনও চূড়ান্ত না হওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। গত কয়েকটি বছর ধরে সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি চাকরির আবেদন ফি কমানোর প্রস্তাব ছিল, এবং এর সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রশাসনিক জটিলতা হয়তো এই স্থগিতির পিছনে কারণ হতে পারে। আবেদন ফি কমানো হলে, এটি প্রার্থীদের জন্য বড় একটি সুবিধা হতে পারে, বিশেষ করে যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল। তবে এই বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন থাকায়, বিপিএসসি কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সময়ে এর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানাতে পারে।

ভবিষ্যত পরিকল্পনা

বিপিএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ৪৭তম বি.সি.এস. পরীক্ষা ২০২৪ এর জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরুর নতুন তারিখ দ্রুত ঘোষণা করা হবে। এ বিষয়ে কোন অতিরিক্ত পরিবর্তন বা ঘোষণা হলে, তা বিপিএসসি ও টেলিটক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য নতুন সময়সূচি ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনাগুলি এই ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে।

৪৭তম বি.সি.এস. পরীক্ষার আবেদন শুরুর তারিখ স্থগিত হওয়ার কারণে প্রার্থীদের জন্য কিছুটা দেরি হতে পারে, তবে এই পরিবর্তনটি মোটেও স্থায়ী নয়। আবেদন শুরুর নতুন তারিখ জানিয়ে দেয়ার পর, সকল প্রার্থী তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য দিয়ে দ্রুত আবেদন জমা দিতে পারবেন। এটি দেশের সরকারি চাকরিতে যোগদানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ, তাই সকল প্রার্থীদেরকে পরবর্তী সময়ে আরো বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

পরবর্তী নির্দেশনা এবং আবেদনের নতুন তারিখ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে বিপিএসসি এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইট নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করা উচিত।

উৎস: বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)

Similar Posts