|

মধ্যরাতে দেশে ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল ঢাকার নিকটবর্তী স্থানে

মধ্যরাতে দেশে ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল ঢাকার নিকটবর্তী জেলায়

ঢাকা, ১৮ অক্টোবর ২০২৪: নারায়ণগঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিমে ৩৫ কিলোমিটার দূরে গত ১৭ অক্টোবর রাত ১২টা ৪৩ মিনিটে (স্থানীয় সময়) একটি ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল পলং এলাকার ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। ভূমিকম্পটি ছিল মাঝারি মাত্রার হলেও অগভীর হওয়ায় এর কম্পন বেশ কিছু এলাকায় টের পাওয়া যায়। তবে এর স্থায়িত্ব ছিল খুবই অল্প, যার ফলে অনেকেই এই কম্পন অনুভব করতে পারেননি।

ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকায়, বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ এবং পলাশের কিছু অংশে এই ভূমিকম্পের কম্পন টের পাওয়া গেছে। অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, কম্পনের সময় জানালা ও দরজা কেঁপে ওঠে এবং কিছু আসবাবপত্রও সামান্য নড়ে ওঠে। যেহেতু ভূমিকম্পটি গভীর রাতের সময় হয়েছিল, তাই বেশিরভাগ মানুষ তখন ঘুমিয়ে ছিলেন এবং তা অনুভব করতে পারেননি। যারা তখন জেগে ছিলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বের হয়ে আসেন।

ভূমিকম্প উৎপত্তিস্থল ঢাকার নিকটবর্তী নারায়ণগঞ্জে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কয়েকজন বাসিন্দা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। একজন লিখেছেন, “মধ্যরাতে হঠাৎ খাট নড়ে উঠতে দেখে আমি জেগে উঠি, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সবকিছু শান্ত হয়ে যায়।” অন্য একজন উল্লেখ করেন যে, “এক মুহূর্তের জন্য জানালার কাচ কেঁপে ওঠে, তবে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।”

ভূমিকম্পের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হলেও অগভীর হওয়ায় আশপাশের এলাকায় ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে স্থানীয় প্রশাসন ও জরুরি সেবাদানকারী সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকায় বসবাসের কারণে বাংলাদেশে মাঝেমধ্যে এ ধরনের ছোট-বড় ভূমিকম্প ঘটে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামান্য মাত্রার ভূমিকম্প হলেও এটি ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক সংকেত হিসেবে দেখা উচিত। ভূমিকম্প-প্রতিরোধী স্থাপত্য নীতি অনুসরণ করে ভবন নির্মাণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, যাতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের পর কোনো আফটারশকের সম্ভাবনা নেই। নাগরিকদের অযথা আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকার এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ ধরনের ভূমিকম্প ভবিষ্যতে আরও বড় কোনো দুর্যোগের পূর্বাভাস হতে পারে, তাই প্রশাসন ও নাগরিকদের আগাম সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

Similar Posts